+880 1834 61 00 28 ipdi.helo@gmail.com

বার্ডের ৮০ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিল আইপিডিআই

কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) ৮০জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বিষয়ক সচেতনতা ও সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারী রিসাসিটেশন) প্রশিক্ষণ দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন আইপিডিআই ফাউন্ডেশন।

বৃহস্পতিবার কুমিল্লার কোটবাড়িতে আইপিডিআই ফাউন্ডেশন ও বার্ডের যৌথ উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ হয়। বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.আসিফ জামান তুষারের তত্ত্বাবধানে বার্ডের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের একটি দলকে সিপিআর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এসময় বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানুষের শরীরে শ্বাসতন্ত্র ও রক্ত সঞ্চালন দুটি গুরুত্বপূর্ণ তন্ত্র। হঠাৎ কোন কারণে যদি একজন মানুষের স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় তখন বাইরে থেকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস ও হৃৎপিন্ড চালু করার পদ্ধতিকে সিপিআর বলে। স্বাভাকি শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে তখন জরুরি ভিত্তিতে কৃত্রিম উপায়ে তার শ্বাস চালু রাখতে হয়। আর প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে সিপিআর অন্যতম একটি পদ্ধতি।

এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বার্ডের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের সভাপতি অ্যাড. আবু রেজা মো. কাইউম খান এবং আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিটিউটের চিকিৎসক ডা. মহসীন আহমদ।

বার্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিলন ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো.শাহজাহান বলেন, সারাবিশ্বের অসংখ্য মানুষ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। একটু সচেতন হলেই সিপিআর-এর মাধ্যমে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে চলেছে। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের এমন সময়োপযোগী উদ্যোগ দেশব্যাপী একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানে ডা. মহসীন আহমদ বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচানোর পেছনে সিপিআর-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। উন্নত বিশ্বে এই গুরুত্ব সঠিকভাবে উপলব্ধ হওয়ায় সেখানে সিপিআর প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সচেতনতা সহজেই প্রতীয়মান হয়। অন্যদিকে আমাদের দেশে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং সিপিআর সম্পর্কে জনসাধারণের ধারণা না থাকায় এ ধরণের কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয় না। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যেই হেলো-আইপিডিআই ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে জীবন বাঁচায় সিপিআর, ঘরে ঘরে হোক এর ট্রেনিং সেন্টার-এই অঙ্গীকার নিয়ে আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। হেলো- আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য স্কুল ও কলেজের পাঠ্যক্রমে বেসিক লাইফ সাপোর্ট ও সিপিআর অন্তর্ভুক্ত করা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট আবু রেজা মো. কাইউম খান বলেন, হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশন হেলোর একটি সহযোগী সংস্থা আইপিডিআই ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দেশব্যাপী দাতব্য ও গবেষণা কর্মসূচী পালন করে আসছে হেলো-আইপিডিআই।ই তোমধ্যেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সিপিআর প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

Source: https://www.jugantor.com/country-news/619017/


© IPDI Foundation. All Rights Reserved. Developed by Klay Technologies