+880 1834 61 00 28 ipdi.helo@gmail.com

চিকিৎসাসেবায় প্রযুক্তির ব্যবহার হৃদরোগের প্রকোপ কমিয়ে আনবে : স্পিকার

চিকিৎসাসেবায় প্রযুক্তির ব্যবহার দেশে হৃদরোগের প্রকোপ অনেকাংশে কমিয়ে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে হৃদরোগ প্রায় মহামারীর আকার ধারণ করেছে। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্স ‘বাংলাদেশ লাইভ ২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসছে। আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই কনফারেন্স আয়োজন বাংলাদেশে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

দেশ ও দেশের বাইরের সহস্রাধিক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়ে আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্স ‘বাংলাদেশ লাইভ ২০২৩ ’ গত সোম ও গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এই কনফারেন্সের আয়োজন করে আইপিডিআই ফাউন্ডেশন। এতে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী।

কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ভারতের স্বনামধন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. অশোক শেঠ, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সংসদ সদস্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত ও বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক একেএম মহিবুল্লাহ। অতিথিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল সাফী মজুমদার, বিআইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফজালুর রহমান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দিন ও হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু রেজা মুহা. কাইয়ুম খান।

অনুষ্ঠানে আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মহসীন আহমদ তাঁর স্বাগত বক্তব্যে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই সংগঠনটি হৃদরোগ প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এসেছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে শহরের অধিবাসী পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রেই আইপিডিআই তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে। এরই ধারাবাহিকতায়, ‘ডিজিটাল বিজ্ঞান-বিশ্বে একধাপ এগিয়ে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমাদের এই আয়োজন।

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক এবং অধ্যাপক অশোক শেঠকে কার্ডিওলজিতে তাঁদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী সমাপনী বক্তব্যে বলেন, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগ নির্মূলে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং এ বিষয়ক নানা সেমিনার এবং কনফারেন্সের আয়োজন করে আসছে। ভবিষ্যতেও আইপিডিআই তাদের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
কনফারেন্সে দেশের এবং দেশের বাইরের প্রথিতযশা প্রায় দেড়শ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ তাদের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ পাঠ করেন। সারা বাংলাদেশের প্রায় এক হাজার চিকিৎসক কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।

আইপিডিআই ফাউন্ডেশন মূলত হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের একটি সহযোগী সংগঠন। দেশব্যাপী হৃদরোগ বিষয়ক সচেতনতার প্রসার এবং জনহিতৈষী কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ সংগঠনটি ইতোমধ্যেই ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের পূর্ণ সদস্যপদ অর্জন করেছে। সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

Source: https://www.kalerkantho.com/online/national/2023/05/03/1276469


© IPDI Foundation. All Rights Reserved. Developed by Klay Technologies