+880 1834 61 00 28 ipdi.helo@gmail.com

অসংক্রামক ব্যাধি থেকে পরিত্রাণে সচেতনতা প্রয়োজন : স্পিকার

অসংক্রামক ব্যাধি থেকে পরিত্রাণে সচেতনতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে আইপিডিআই ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্টাডিজ (বিআইপিএস) আয়োজিত ওয়ার্কশপ অন এনসিডি অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড সিপিআর ট্রেনিং প্রোগ্রাম শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অসংক্রামক ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পেতে সচেতনতা প্রয়োজন। হৃদরোগের কারণে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলে কীভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রাণে বাঁচানো যায়, সে বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে হৃদরোগের মতো অসংক্রামক ব্যাধির প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। হৃদরোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যাপক গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এই কর্মশালা সিপিআর শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে সক্ষম করবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, যে কোনো বিষয়ে সচেতনতাই হলো বড় প্রতিরোধ। দেশে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতনতা পৌঁছাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিশেষ করে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বিষয়ে সচেতনতায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, জনসাধারণনের মধ্যে অনেকেই জানেন জ্বরের প্রথমিক চিকিৎসা প্যারাসিটামল। একইভাবে হৃদরোগের ক্ষেত্রে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে কেউ আক্রান্ত হলে কী করণীয় তা জানা থাকলে জীবনের ঝুঁকি অনেক কমে আসবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ও আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের ওপর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজেসের অধ্যাপক ও আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন আহমেদ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

মূল বক্তা অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচানোর পেছনে সিপিআর-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। উন্নতবিশ্বে এই গুরুত্ব সঠিকভাবে উপলব্ধ হয়েছে বিধায় সেখানে সিপিআর প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সচেতনতা সহজেই প্রতীয়মান হয়। অন্যদিকে আমাদের দেশে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং সিপিআর সম্পর্কে জনসাধারণের ধারণা না থাকায় এ ধরনের কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয় না। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যেই হেলো-আইপিডিআই ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে জীবন বাঁচায় সিপিআর, ঘরে ঘরে হোক এর ট্রেনিং সেন্টার- এই অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের আজকের এই কর্মশালার আয়োজন। আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য স্কুল ও কলেজের পাঠ্যক্রমে বেসিক লাইফ সাপোর্ট ও সিপিআর অন্তর্ভুক্ত করা। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এমপি মো. আব্দুল আজিজ, মো. তৌহিদুজ্জামান, রেজিয়া ইসলাম, কোহেলী কুদ্দুস, দ্রোপদী দেবী আগরওয়ালা, মোছা. আশিকা সুলতানা, রুনু রেজা, জাতীয় সংসদ সদস্যদের ব্যক্তিগত সহকারী, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের ব্যক্তিগত সহকারীসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সকল সংসদ সদস্য, সংসদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রায় ২০০ জনকে সিপিআর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

Source: https://www.kalbela.com/health/others/98605


© IPDI Foundation. All Rights Reserved. Developed by Klay Technologies