অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্স
দেশ ও দেশের বাইরের সহস্রাধিক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞকে নিয়ে আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে।
গত সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অন্তর্জাতিক কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্স বাংলাদেশ লাইভ ২০২৩-এর আয়োজন করেছিল আইপিডিআই ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উক্ত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ভারতের স্বনামধন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. অশোক শেঠ, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সংসদ সদস্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত এবং বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম মহিবুল্লাহ।
অতিথিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল সাফী মজুমদার, বিআইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফজালুর রহমান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দিন এবং হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু রেজা মুহা. কাইয়ুম খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে হৃদরোগ প্রায় মহামারির আকার ধারণ করেছে। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসছে।’
আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই কনফারেন্স আয়োজন বাংলাদেশে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা করেছে। স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাইজেশন দেশে হৃদরোগের প্রকোপ অনেকাংশে কমিয়ে আনবে—তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মহসীন আহমদ তার স্বাগত বক্তব্যে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই সংগঠনটি হৃদরোগ প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে শহরের অধিবাসী পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রেই আইপিডিআই তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে। এরই ধারাবাহিকতায়, ‘ডিজিটাল বিজ্ঞান-বিশ্বে এক ধাপ এগিয়ে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমাদের এই আয়োজন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক এবং অধ্যাপক অশোক শেঠকে কার্ডিওলজিতে তাদের অবদানের আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সভাপতি অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগ নির্মূলে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং এ বিষয়ক নানা সেমিনার এবং কনফারেন্সের আয়োজন করে আসছে। ভবিষ্যতেও আইপিডিআই তাদের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। অতঃপর উপস্থিত সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে তিনি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। উক্ত কনফারেন্সে দেশের এবং দেশের বাইরের প্রথিতযশা প্রায় দেড় শ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ তাদের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ পাঠ করেন। সারা বাংলাদেশের প্রায় এক হাজার চিকিৎসক উক্ত কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আইপিডিআই ফাউন্ডেশন মূলত হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের একটি সহযোগী সংগঠন। দেশব্যাপী হৃদরোগ বিষয়ক সচেতনতার প্রসার এবং জনহিতৈষী কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ সংগঠনটি ইতিমধ্যে ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের পূর্ণ সদস্য পদ অর্জন করেছে।
Source: https://www.kalerkantho.com/online/national/2023/05/03/1276455